পররাষ্ট্রনীতিতে বিপ্লব: আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের পথে বাংলাদেশ
আপডেটঃ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর:- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন স্বচ্ছতা, আত্মমর্যাদা, এবং সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডর অ্যাটলার্জ মুশফিকুল ফজল আনসারী।মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।এটি এমন একটি নীতি যা পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দেয়।”
মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, “বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় এখন সাহসী ও স্বাধীন অবস্থান নিচ্ছে।আগের সরকারের মতো অন্য কোনো দেশের তাবেদারি করার প্রবণতা এই নীতিতে স্থান পাবে না।”
গত ৫ আগস্ট তীব্র গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনে।সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারতের প্রতি বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
মুশফিকুল উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী।এটা আর একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।”তিনি দাবি করেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বমঞ্চে একটি ভিন্ন কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সার্বভৌমত্ব এবং আত্মনির্ভরশীলতার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশ এখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।”
মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, “এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি যা সমতার ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে।জবরদস্তির কোনো সুযোগ এখানে নেই। বাংলাদেশ তার মর্যাদা সমুন্নত রেখে বৈশ্বিক জটিল পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।”
পররাষ্ট্রনীতির এই নতুন ধারা দেশের জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।ভারতের সঙ্গে সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন এই কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
IPCS News : Dhaka