পদ্মাসেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন,দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আনন্দিত, উদ্বেলিত, উচ্ছ্বসিত
আপডেটঃ ১:৩৬ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৮, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বছরের ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।বাকি ছিল রেল যোগাযোগ।সেই জল্পনা-কল্পনারও অবসান ঘটছে আগামী ১০ অক্টোবর।এর ফলেদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যোগ হচ্ছে নতুনমাত্রা।দিন যতই এগোচ্ছে তাদের ভেতর আনন্দ আর উদ্দীপনা ততই বাড়ছে।জানা গেছে—পদ্মা সেতু চালুর এক বছর দুই মাস পর আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে।ওই দিন নতুন এ রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে ১০ অক্টোবর।এছাড়া আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।মোট ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)।
ফরিদপুরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের নতুনমাত্রা যোগ হবে।এদিকে, পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলার খবরে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা।তাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরুর পর সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুযোগ।
এ অঞ্চলের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা এখন অর্ধেক খরচে রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারবেন।যা তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উপকারে আসবে।এতে ভোগান্তির পাশাপাশি কমবে শিক্ষার খরচ।জিনিসপত্রের দামেও পড়বে ইতিবাচক প্রভাব।ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তাকবীর হোসেন বলেন, এ রুটে ক’টি ট্রেন চলবে, যাত্রীপ্রতি ভাড়া কত হবে।
এখনো আমাদের কাছে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি।তবে, অনুমান অনুযায়ী, ঢাকা-ফরিদপুর জনপ্রতি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মতো ভাড়া হতে পারে।কারণ, ফরিদপুর থেকে রাজশাহী চলাচলকারী মধুমতী এক্সপ্রেসে আড়াইশ কিলোমিটারের ভাড়া ২৫০ টাকা। ঢাকা-ফরিদপুর রেল দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার।
তবে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সবক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।এরই মধ্যে ট্রেন চালুর খবরে মানুষ নতুন পরিকল্পনার স্বপ্ন বুনছে।এমন খবরে আনন্দিত, উদ্বেলিত, উচ্ছ্বসিত সর্বস্তরের মানুষ।পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর এবার রেল নিয়ে নতুন পরিকল্পনার স্বপ্ন বুনছে।
দক্ষিণের মানুষ ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথে ঘরে ফিরবে।রেল ভ্রমণ সবসময়ই নিরাপদ ও সাশ্রয়ী।শুধু যাত্রী নন, পণ্য পরিবহনেও ব্যবসায়ীরা ঝুঁকবেন রেলপথে।ট্রেন চালুর পর সাধারণ যাত্রী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ সুবিধার পাশাপাশি সবক্ষেত্রে লাভবান ও সুফল ভোগ করবেন।
বাঁচবে অর্থ, বাঁচবে সময়।বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিসর।ফলে দক্ষিণাঞ্চল তথা ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষ আনন্দিত-উচ্ছ্বসিত।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।