নেত্রকোণার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গা বেদখলের পায়তারা প্রতিবাদে বিধবা স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
আপডেটঃ ২:৩৭ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোণা: নেত্রকোণা পৌর শহরের নিউটাউন নিবাসী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বুলবুল এর ক্রয়কৃত জমি বেদখলের পায়তারার প্রতিবাদে তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের করেছে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার প্রয়াত স্বামী ছাত্র রাজনীতি, আওয়ামী রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজী রেখে এদেশকে স্বাধীন করেছে।আমার স্বামী ১৯৯৭ সালে সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নে বাংলা গ্রামের মৃত সমশের আলীর পুত্র সিরাজুর রহমানের কাছ থেকে ৮৭৬ দাগের ৬৯ শতাংশ জমির মধ্যে ৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে।পরবর্তীতে এ জমি বর্গা চাষী দিয়ে চাষ করে আসছিলেন।২০০৬ সালে ২২ ডিসেম্বর আমার স্বামী মৃত্যু বরন করে।পরবর্তীতে উক্ত জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে কান্দুলিয়া গ্রামের মৃত গুলে হোসেনের পুত্র আব্দুল জলিল ও ইয়ার হোসেনের।
কিছুদিন আগে জলিল গংরা ৮ শতক জমি বেদখলের পায়তারা করে।খবর পেয়ে আমার পক্ষ নিয়ে জেলার মুক্তিযেদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা এর প্রতিবাদ করে এবং জমির সিমানা নির্ধারনের জন্য গাছ রোপন করে।সংবাদ সম্মেলন তিনি কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, আমি একজন মুক্তিযেদ্ধার বিধবা স্ত্রী। দুই সন্তান নিয়ে দুঃখে কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছি।
আমার স্বামীর শেষ সম্বলটুকু বেদখল করে নিলে না খেয়ে আমাদেরকে মরতে হবে।তিনি সংবাদ সম্মেলন তার স্বামীর ক্রয়কৃত জমির মালিকানা বুঝে পেতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন, মুক্তিযুদ্ধ কালীন উইন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুজ্জোহা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ নুরুল আমিন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল মতিন খান, নেত্রকোণা সদর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আইয়ুব আলী, সাবেক বাংলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক গাজী মর্তুজা হোসেন কামালসহ অন্যান্যরা।
IPCS News : Dhaka : গোলাম কিবরিয়া সোহেল : নেত্রকোণা।