সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

আপডেটঃ ১২:৫২ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ

ভূয়া ও জাল সনদপত্র দিয়ে শিক্ষিকা জমিলা খাতুনের চাকুরী করার অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।পূনার্ঙ্গ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর না দিয়ে শুধুমাত্র মোহাম্মদ শফিউল নামে জনৈক ব্যক্তি বিগত ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার সাতগাঁও এম বি পি হাই স্কুলের শিক্ষিকা জমিলা খাতুনের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভূয়া ও জাল সনদপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরী করে আসছে অভিযোগ এনে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।এ ব্যাপারে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম ২২ নভেম্বর খালিয়াজুরী উপজেলার সাতগাঁও এম বি পি হাই স্কুলে গিয়ে তদন্ত করে বিদ্যালয়ে রক্ষিত জমিলা খাতুনের সকল সনদপত্র নিয়ে আসে।পরবর্তীতে এ সকল সনদপত্র জাল না, সঠিক, তা যাছাই বাঁছাই করার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করে।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা জমিলা খাতুনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার একটি কুচক্রী মহল সামাজিকভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করেছে।এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।

আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।এ ব্যাপারে সাতগাঁও এম বি পি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার ভৌমিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার স্কুলের একজন সিনিয়র শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভূয়া ও জাল সনদপত্র নিয়ে চাকুরী করার যে অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তাতে অত্র বিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষিকাসহ সমস্ত শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত না হলে একজন সিনিয়র শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্টের অভিযোগে উক্ত অভিযোগকারী ও এর পিছনে মূল হোতাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জানা যায়, সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সনদপত্র বিষয়ে জবাব দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গফুর-এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জমিলা খাতুনের সনদপত্র সঠিক বলে আমাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

IPCS News : Dhaka : গোলাম কিবরিয়া সোহেল : নেত্রকোণা।