দুই ঘণ্টায় পদ্মার পেটে গেল ৭০ মিটার জমি
আপডেটঃ ৫:৩০ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী ব্যুরো:- চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।গত এক মাসের ভাঙনে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি গ্রামের প্রায় ২৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।এরপর প্রায় সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে শনিবার বেলা ১১টা থেকে মাত্র দুই ঘণ্টায় আরও ৭০ মিটার বসতি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।এ নিয়ে গত এক মাসে এ গ্রামের ৩০০ মিটার এলাকা ভেঙেছে।ভাঙন শুরুর পর নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি।তীব্র হুমকির মধ্যে রয়েছে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী, মোড়লপাড়া, ফাটাপাড়া, চাকপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার।ভাঙন দেখে এই গ্রামের বাড়ি-ঘর ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত গ্রামবাসী।কাটা হচ্ছে ছোট-বড় সব ধরনের গাছ।
ইতোমধ্যেই পদ্মায় বিলীন হয়েছে এই গ্রামের পাকা-আধপাকা ঘরবাড়ি, মসজিদসহ বহু স্থাপনা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার জানান, শনিবার বেলা ১১টায় হঠাৎ করে আবারো ভাঙন শুরু হয়।কয়েক দিন বিরতি দিয়ে এদিন মাত্র দুই ঘণ্টায় পুরোদমে তাণ্ডব চলে গোয়ালডুবি গ্রামে।
তিনি জানান, গোয়ালডুবি গ্রামে হঠাৎ করে নদীর পাশ দিয়ে জায়গা নিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে এবং তা অনেকদূর পর্যন্ত গেছে।সাধারণত নদীভাঙনের এমন ধরন দেখা যায় না।তিনি আরও জানান, নতুন করে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর পাড়ে জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেছে।তবে জিওব্যাগ নয়, বাঁধ নির্মাণ করাই স্থায়ী সমাধান বলছেন স্থানীয়রা।
শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ নির্মাণ করা গেলে এখনকার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো বলে মনে করেন তারা।চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সদস্য ইব্রাহিম আলী বলেন, নদী ভাঙনকবলিত এলাকার ৪টি গ্রামের বাসিন্দা কঠিন সময় পার করছেন।তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।সর্বনাশা পদ্মা যেভাবে তার আগ্রাসী থাবা দিয়েছে তাতে জিওব্যাগ দিয়েও রক্ষা করা অসম্ভব।
কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
চলতি বছরে ব্লক নির্মাণের কাজ চলছে।আগামী বছর বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে এলাকার মানুষ।এছাড়াও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
IPCS News Report : Dhaka: আবুল কালাম আজাদ: রাজশাহী।