দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামী ১১ অক্টোবর মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন।
আপডেটঃ ৬:৫২ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৯, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনা:- আগামী ১১ অক্টোবর নেত্রকোনা মদন উপজেলায় আওয়ামী লীগের সন্মেলন।এই সন্মেলন ঘিরে দলীয় নেতাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।তৃনমুল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা।সারা দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা দলের ভিতরে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন।ঠিক সে ভাবেই মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্মেলনে যোগ্য আর ত্যাগী নেতৃত্বে বাছাই করা হবে বলে আশা করছেন বর্তমান সভাপতি ও সভাপতি পদপ্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুস।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে দলের নেতা কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বর্তমান সভাপতি আব্দুল কদ্দুস।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইফতে খায়রুল আলম খান চৌধুরী আজাদ, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি, জেলা পরিষদে সাবেক সদস্য ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম হান্নান।
সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আছেন, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার খান এখলাছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার শামিম, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি বাবু বিমান বৈশ্য।
দলীয় সূত্রে আরও জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সন্মেলন হয়েছিল ৭ বছর আগে।২০১৫ সালে ২০ শে জুন তিন বছরের জন্য গঠিত ৭৭ সদস্যর কমিটি হয়েছিল।ইতিমধ্যে ৫-৭ জন মারা গেছেন।মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটি দিয়েই এতদিন চলছিল মদন উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক নেতাকর্মী।সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আব্দুল হান্নান তালুকদার শামিম বলেন,আমি উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।আমার ৭ ভাই আওয়ামী লীগ পরিবারে সাথে জড়িত।
আমি তৃণমূলের দাবির কারনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।কেন্দ্রীয় নেতারা আমার উপর দায়িত্ব দিলে।আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও বাবর অধ্যুষিত এলাকায় দলকে সুসংগঠিত করে প্রতিদান দেব।
সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ ইফতে খায়রুল আলম খান চৌধুরী আজাদ জানান, আমি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলাম, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম, বিভিন্ন মামলায় জেল কেটেছি।
৭ বছর পর সন্মেলন হচ্ছে।আমি এই দীর্ঘ সময়ে মদন উপজেলার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।তৃণমূলকে নিয়ে শুরু থেকেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।আশা করি কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোণা।