সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

দিনাজপুরে সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক, ভালো দাম পাওয়ায় মুখে তৃপ্তির হাসি

আপডেটঃ ৮:২৮ অপরাহ্ণ | মে ১১, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:- দিনাজপুরে সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি। সার, তেল, বিদ্যুৎ, শ্রমিক খরচ পেরিয়েও ভালো লাভের মুখ দেখেছেন তারা, বাংলাদেশ কৃষি ভিত্তিক দেশ।এখানে ৮০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল।দেশের সব বিভাগ থেকে থেকে রংপুর বিভাগ ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রনী ভুমিকা অয়ালন করছে।সেক্ষেত্রে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায় বোরো ধান চাষে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে।এ জেলাকে খাদ্য শস্যের ভান্ডার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।জেলায় দুই জাতের ধান উৎপন্ন হচ্ছে হাইব্রিড ও উফশী।উফশী জাতের মধ্যে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৫৮, মিনিকেট, সম্পা কাঠারী, বগুড়া সম্পা, জামাই কাঠারী, সোনামুখী, ননিয়া, কোটরা পারী ও বিয়ার-১৬।হাইব্রিড ধানের মধ্যে তেজ গোল্ড, হীরা-২, ব্রাক (রূপালি) ও এস এল ৮-এইচ।এবার আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ থাকায় মাঠে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।

ফলে অনান্য বছরের তুলনায় কৃষকরা উৎসব মুখর পরি বেশে ধান কাটা-মাড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।বেশ কিছু দিন আগে আগাম ধান কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে।বর্তমানে ৩১% ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে কৃষকরা ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।বর্তমান প্রচন্ড তাপ প্রবাহে ধানের বাজার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।কৃষকরা খুশি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোট ধান বিক্রয় হচ্ছে বস্তা প্রতি ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে বিক্রয় হচ্ছে।আর চিকন ধান বিক্রয় হচ্ছে বস্তা প্রতি ২৫০০-২৬০০ টাকায়।কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবার দিনাজপুর জেলায় ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে।

এর মধ্যে হাইব্রিড ২৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে আর উফশী ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উফশী ধানে ক্ষেত্রে ৪.৩৬ মেট্রিক টন।দিনাজপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সুত্রে বর্তমানে জেলায় ৩১% ধান কর্তন হয়েছে।

সেই অনুযায়ী উফশী ও হাইব্রিড ধানের উভয় ক্ষেত্রে মোট ৫৩ হাজার ৮ শত ৭৫ হেক্টর জমিতে ধান কাটা হয়েছে।১ নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ডের গোলামপাড়া এলাকার কৃষক শ্রী নন্দ কিশোর রায় বলেন সময়মত বৃষ্টি পাত হওয়ায়, ঝর-বজ্রপাত কম, এবার ফলন ভালো হয়েছে বাজারে ধানের দাম আশানুরূপ পাওয়া যাচ্ছে।

একই এলাকার হিলারিউস এক্কা, মত্ত ফিয় দাস জানান, এবারে তারা বিশ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন।ফলন ভালো হওয়ায় তারা খুব খুশি।গত হাটে মন প্রতি ৯৫০ টাকা দরে ধান বিক্রয় করেছেন তারা এবার পোকামাকড় এর উপদ্রব কম।

তাপ প্রবাহে শুকনা ধান বিক্রয় করেছেন বস্তা প্রতি ১৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা দরে গড়ে দাম ভালো পেয়েছেন তারা এই বিষয়ে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে বলেন এবার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে,তবে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কম।উৎপাদন ভালো হয়েছে।

আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, আবহাওয়া ভালো থাকলে বাকী ৬৯% ধান তারাতাড়ি কৃষকেরা কর্তন করবে।বর্তমানে কৃষকেরা ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত আর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি উঠেছে।ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এবার ছারিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।