দিনাজপুরে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হল ৬০ বছরের পুরনো মসজিদ
আপডেটঃ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৩, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুরে পারিবারিক দ্বন্ডের জের ধরে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হল ৬০ বছরের পুরনো তেলাইকুড়ি জামে মসজিদ।জমিদাতাকেই প্রাণনাশের হুমকি দিল অত্র এলাকার কিছু যুবক।আবার নিজের বাপ-দাদার নামে ভাঙ্গা মসজিদের পাশেই তৈরি করা হচ্ছে আরেকটি মসজিদ।এ যেন সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়।এক প্রকার জোর যার মুল্লুক তার এই পরিণত হয়েছে।দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, দিনাজপুর শহর থেকে কয়েক কিলো মিটার দূরে ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ৬০ বছরের পুরনো ঐহিহাসিক তেলাইকুড়ি জামে মসজিদটি।ওয়াকফ স্ট্রেট দলিলের মাধ্যমে পরবর্তীতে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান সরকারের আমলে রেকর্ডভুক্ত হয়।বর্তমানে দাতা সদস্যদের ওয়ারিশগণের পক্ষে ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান অত্র মসজিদের যাবতীয় বিষয়ে দেখাশুনা করেন।থানায় অভিযোগ-কারী ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, গত ২৫/০৯/২০২১ তারিখে শনিবার আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে অত্র ৮নং শংকরপুর তেলাইকুড়ি জামে মসজিদের পাশে থেকে দাঁড়িয়ে আরিফ হোসেনের নির্দেশে তাদের লোক-জনদের মসজিদ ভাঙ্গার নির্দেশ দেয়।
ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান আরো জানান, ৮নং শংকপুর তেলাইকুড়ি জামে মসজিদের পাশেই আব্দুর রহমানের পুত্র আরিফ, সেতার উদ্দিনের পুত্র মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ আব্দুর রহমান, মৃত-মহির উদ্দিনের পুত্র মোঃ সাবেদ আলী, মোঃ আব্দুস সালামের পুত্র মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মৃত আজিম উদ্দিনের পুত্র মোঃ সলিম উদ্দিন, মৃত-আইন উদ্দিনের পুত্র মোঃ ওহিদুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুল ইসলামের পুত্র মোঃ মিরাজ, মৃত-মাইন উদ্দিনের পুত্র মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মৃত-মোজাহার আলীর পুত্র মোঃ রমজান আলী, আমজাদ আলী, মোঃ আনিছুর রহমানের পুত্র মোঃ রইসুল ইসলাম সহ আরো কিছু যুবক মসজিদটি লোহার সাবল, হাম্বল ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙ্গা শুরু করে।
অত্র মসজিদের দাতা মোঃ আকতার হোসেন ও দাতাগণের অন্যান্য ওয়ারিশগণ বাধা প্রদান করলে মোঃ রইসুল ইসলাম, মোঃ সাদ্দগাম হোসেন, মোঃ মিরাজ ও মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মসজিদের ওয়ারিশদেরকে মারধর করে সেখান থেকে চলে যায়।মসজিদ ভাঙ্গা ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অত্র এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ৮নং শংকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ইসাহাক আলীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি।আমি ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমানকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করি।
আপনি অত্র ইউনিয়নের অভিভাবক ইচ্ছে করলে আপনি এটি সমাধান করে দিতে পারতেন।চেয়ারম্যান বলেন বিষয়টি আপনি ঠিকই বলেছেন, আমার নিয়ন্ত্রণে নাই বিধায় আমি তাদেরকে থানায় যেতে পরামর্শ প্রদান করেছি।
অপরদিকে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেনের সাথে মসজিদ ভাঙ্গার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
IPCS News : Dhaka : এম এ সালাম : দিনাজপুর।