দিনাজপুরে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা
আপডেটঃ ৫:৪৯ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- বর্তমান সরকারের সময়ে যখন আওয়ামী লীগের একজন পাতি নেতারাও নিজেদের অনেক বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত করে প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার করে চলেছেন, ঠিক তখনই নিজের ক্রয়কৃত জমিতে এক ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদে চেম্বার অব কমার্স, স্থানীয় সংসদ সদস্য এমনকি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।সবার কাছে ঘুরলেও কোনো সুরাহা করতে পারছেন না।বীর মুক্তিযোদ্ধা তসলিম উদ্দীন আহমেদ।এক নামেই চেনে দিনাজপুরবাসী।একজন নিবেদিত ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মী।এলাকার মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতাসহ আওয়ামী লীগের যে কোনো দুঃসময়ে তিনি ত্রানকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন।তাইতো ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা হলে তিনি নেতা-কর্মীদের সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।অনেক চরাই-উতরাই পার হলেও অথবা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পালাবদলের যে ঘটনাই ঘটুক না কেন, তসলিম উদ্দীন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছপা হননি কখনই।
তিনি ৭১ এ রণাঙ্গণের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা পালনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা।তার এ অবদান কেউ স্বীকার করুক বা না করুক দিনাজপুরবাসী বিশেষ করে সেই সময়ের সকলেই তা অকপটে স্বীকৃতি প্রদান করেন।ছাত্রজীবনের তসলিম উদ্দীন ১৯৬৯ সালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন।
সম্প্রতি তসলিম উদ্দীন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি আবেদন করেছেন।ওই আবেদন সুত্রে জানা গেছে, গত ১৪-০২-১৯৯৩ ইং ও ২০-১১-২০০৬ তারিখে তসলিম উদ্দীন আহমেদ ও তার স্ত্রীর নামে দিনাজপুর শহরের গনেশতলায় ৩ তলা বিল্ডিংসহ জমি ক্রয় করেন।যার রেজিষ্ট্রি দলিল নং- ১১০৯ ও ৫১৭৯ এবং জমির পরিমান ১.৬৭ ও ২.৮৬ শতাংশ।
বিল্ডিংটির ১ম তলায় তসলিম উদ্দীনের নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দ্বিতীয় তলায় তার গোডাউন এবং তৃতীয় তলায় ফ্রেন্ডস ক্লাব নামীয় একটি ক্লাব রয়েছে।যে ক্লাব মদ, জুয়া, নেশাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভয়ারণ্য।দিন থেকে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে এসব চললেও কেউ কিছু বলার নেই।বর্তমানে বিল্ডিংটি পুরাতন ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পতিত হয়েছে।
দিনাজপুর পৌরসভা কর্তৃক বিল্ডিংটি ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষনা করে ভেঙ্গে ফেলার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।কিন্তু ওই ফ্রেন্ডস ক্লাবের কারনে বিল্ডিং ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না।তারা ভবনের দখল ফেরৎ দিতে তালবাহানার আশ্রয় নিয়েছে।বিষয়টি নিয়ে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় একাধিক মিটিং অনুষ্ঠিত হলেও কাজ হয়নি।
পরবর্তীতে তসলিম উদ্দীন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের নিকট যান।তিনি সমাধানের আশ্বাস দেন।কিন্তু এর ৫ বছর অতিবাহিত হবার পরও কোনো কাজ হয়নি।সবশেষ মুক্তিযোদ্ধা তসলিম উদ্দীন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট একটি আবেদন করেছেন।
তসলিম উদ্দীন আহমেদ জানান, আবিলম্বে আমার বিল্ডিংয়ের দখল আমাকে বুঝিয়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আকুল আহবান জানাচ্ছি।তা না হলে বিল্ডিংটি রানা প্লাজার মতো যে কোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে।এতে জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হবার আশংকা রয়েছে।আমি মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনাসহ সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।