দিনাজপুরে ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পুলিশ সদস্য
আপডেটঃ ১২:২৯ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২৬, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার এএসআই সিরাজুল ইসলাম ২৪ নভেম্বর গতকাল রবিবার সকালে ফুলবাড়ী শহরের বাসট্যান্ড এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী কাঞ্চনকে মাদক মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পড়েন এএসআই ও একজন কনস্টেবল।পরে ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ খন্দকার মহিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাত থেকে এএসআই সিরাজুল ইসলাম ও তার সাথে থাকা কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এ ঘটনায় ফুলবাড়ী উপজেলা শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকালে এএসআই সিরাজুল ইসলাম হাতে করে একটি ব্যাগ নিয়ে কাঞ্চন হোটেলে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ পরেই আবার খালি হাতে হোটেল থেকে বের হয়ে আসার পর আবার একজন কনস্টেবল সাথে নিয়ে কাঞ্চন হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করে হোটেলের টিউবওয়েল এর পাশের একটি খুঁটিতে ঝুলে থাকা ব্যাগ হোটেল মালিক কাঞ্চনকে নামিয়ে দেখতে বলেন।
কাঞ্চন ব্যাগ নামাতে অস্বীকার করলে এএসআই সিরাজুল ইসলাম তার সোর্সের মাধ্যমে ব্যাগটি উপর থেকে নিচে নামিয়ে দেখেন সেখানে সাদা পানি ভর্তি করা ৪টি ফেন্সিডিলের বোতল রয়েছে।এসময় এএসআই সিরাজুল ইসলাম উচ্চস্বরে বলতে থাকেন কাঞ্চন হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসা করেন।
এরমধ্যে আশপাশের ব্যবসায়ীরা হোটেলে প্রবেশ করে পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন এই কাঞ্চন মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনো ভাবে জড়িত নয় আপনারা তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জনসাধারণ জমাট বাঁধলে সেখানে এএসআই ও কনস্টেবল কে আটক করে রেখে ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কে খবর দেয়া হলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে এএসআই সিরাজুল ইসলাম ও কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ খন্দকার মহিবুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সোর্সের মাধ্যমে ভুল তথ্য পেয়ে হোটেলের অভিযান চালানো হয়েছে।বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
এ ঘটনার সাথে জড়িত এএসআই সিরাজুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কনস্টেবলের নাম জানেন বলে এড়িয়ে যান।তবে তিনি স্বীকার করেন এসআই আশিকসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঞ্চন হোটেলে অভিযান চালিয়েছেন।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।