দিনাজপুরে টিকিট ব্ল্যাক এখন ওপেনে স্টেশন প্রশাসনের চেয়ে চেয়ে দেখার অভিযোগ
আপডেটঃ ১০:২৩ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- সোভন চেয়ার ৪৬৫ টাকা মূল্যের টিকিত কালো বাজারিতে বিক্রয় করা হচ্ছে ১০০০ থেকে/১২০০ টকায়, এসি চেয়ার ৯০০ টাকা মূল্যের টিকিট কালো বাজারিতে বিক্রয় হচ্ছে ২০০০ থেকে /২২০০ টাকায়, স্লিপার কেবিন ১৮০০ টাকা মূল্যের টিকিট কালো বাজারিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০০০/থেকে ৭০০০ হাজার টাকায়।
পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর হয়ে ঢাকা যাওয়া আসা করে ৩টি আন্তঃনগর ট্রেন ১. দ্রুতযান আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ২. বিমুসিই পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন, ৩.একতা এক্সপ্রেস ট্রেন এই আন্তঃনগর ট্রেনে ৩টির, ১০০ পার্সেন্ট টিকিটের মধ্যে অনলাইনে ৫০ এবং কাউন্টারে ৫০ পার্সেন্ট টিকিট বিক্রয় করা হয়।
এর মধ্যে দিনাজপুরে ৩ টি আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে বরাদ্দ রয়েছে, সকালে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেসের এসি বাধ ৪ টি, এসি চেয়ার ৪টি,সোভন চেয়ার ৯০টি,দুপুরে বিমুসিই আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এসি বাধ ৮টি, সোভন চেয়ার ৯০টি, রাত্রিতে আন্তঃনগর ট্রেন একতা এক্সপ্রেস এসি বাধ ৬টি, সোভন ৯০টি, টিকিট সহ অনলাইনের টিকিট গুলি, প্রায় সমুদয় টিকিট চিহ্নিত টিকিট কালো বাজারির ডিলারেরা, বিপদগামী নারী ও পুরুষদের টিকিট কাউন্টারের প্রথম সারিতে দার করিয়ে টিকিট গুলি কেটে নিচ্ছে।
সেই সঙ্গে অনলাইনের টিকিটগুলিও কেটে নিচ্ছে, ফলে সন্মানিত আন্তনগর ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা টিকিট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।আর এই টিকিট গুলি বাংলাদেশ রেলওয়ে দিনাজপুর স্টেশন চত্ত¡র প্লাটফর্মের ভেতর ও বাহিরে গরুর হাটের ন্যায় প্রকাশ্যে ঢাক ঢোল পিটিয়ে দুই গুন তিন গুন অধিক দামে বিক্রয় করছে।
সাধারন যাত্রীগন ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে এবং অনলাইনে টিকিট না পেয়ে নাজেহাল হয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়েই দুই গুন তিন গুন দামে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সন্মানিত ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা।
প্রকাশ্যে টিকিট বিক্রি করলেও দিনাজপুর রেলওয়ে প্রশাসন (এস,এস, ডিপার্টমেন্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আর,এন,বি) দিনাজপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখছেন, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে উল্টো তাদেরকে মোটর সাইকেল নিয়ে বেড়াচ্ছেন, আর সি কোকাকলা,পান,সিগারেট ঘাড়ে হাত দিয়ে বসে বসে খাচ্ছেন।
কালোবাজারিদের সার্বিক সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ে স্টেশন দিনাজপুরের এ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর।এ ব্যপারে দিনাজপুর বিরল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেন, দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট (এস,এস) জিয়াউল জিয়া ছুটিতে থাকয় (এস,এস,) এর দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি জানান টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটছে তারা আমি কি করব।
রেলওয়ে সুত্র জানায় বিরল স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেন পঞ্চগড় স্টেশনে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন কালে স্টেশন ওয়ার্কিং রুল, স্টেশন ম্যেনুয়েল, জি,আর, রুল এবং জি, এস, রুল পরিপন্থী কার্যকলাব করার অপরাধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিরল স্টেশনে বদলি করা হয়।
টিকিট কাটতে আসা সন্মানিত সাধারণ যাত্রী মোঃ মাহমুদুল হক (মিঠুল) দিনাজপুর পৌরসভাধীন মিশন রোড ১১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য অভিযোগে করেন, ১ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৯.৩০ টা থেকে ২ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত টিকিট কাটার জন্যে টিকিট কাউন্টারের লাইনের প্রথম সিরিয়ালে দাঁড়াই।
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আর,এন,বি) এস,আই সরওয়ার (আর,এন বি) সদস্য রায়হান টিকিট কালোবাজারি ঠিকাদারদের ইশারায় আমাকে বারংবার প্রথম সিরিয়াল থেকে সরানোর অপচেষ্টা চালায় অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে সটকে পরেন তারা।
অপরদিকে ওপেনভাবে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কালো বাজারির ব্যাপারে রেলওয়ে থানা দিনাজপুরের অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল হক ভূইয়া বলেন, বিগত সময় জুড়ে আমরা অনেক টিকেট কালো বাজারিদের ধরে জেল হাজতে পাঠিয়েছি আমাদের পুলিশ সদস্যরা সর্বক্ষণিক রেলওয়ে স্টেশন মনিটরিং করে থাকে, প্রকাশ্যে ট্রেনের টিকিট কালো বাজারি করা হচ্ছে আমরা জানতে পারলাম, তাদের সনাক্ত করে প্রমান সাপেক্ষে টিকিট কালো বাজারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব বলে জানান।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।