সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

দিনাজপুরে কবর স্থানের জায়গা দখল করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ

আপডেটঃ ২:৪০ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:- কবরস্থানের জায়গা দখল করে বিক্রি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে ইতঃপূর্বে স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠক মানববন্ধন করেও কোনো সমাধান হয়নি।নিরুপায় হয়ে কবরস্থান দখলমুক্ত করতে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কবরস্থান কমিটি।ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর এলাকায়।জানা যায়, সদরের ১ নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর মৌজার চাঁদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ এলাকায় ইসলাম গাজী পিরোত্তর মাজারের গোরস্থানের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।গত এক সপ্তাহ আগে নতুন করে নীলফামারী উপজেলার বুলু নামে এক ব্যক্তি কবরস্থানের ৫ শতক জায়গা ক্রয় করেন।শহরের ৪নং উপশহর এলাকার মৃত জহুর উদ্দিন ব্যপারির ছেলে সালাউদ্দিনের কাছে।সালাউদ্দিন ৩শ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে।

চুক্তিপত্রে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে বায়না বাবদ এক লক্ষ টাকা গ্রহণ করে।সেই থেকে বুলু মিয়া জায়গা তার ক্রয়কৃত দাবি করে রেজিস্ট্রি না নিয়েই সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করে দেন।কমিটির লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।পরে তারা দিনাজপুর আদালতে মামলা করলে আদালত তাদের ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

এছাড়া কমিটির লোকজন জজকোর্টে কবরস্থানের উপর বাড়ি নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।এই জায়গা নিয়ে বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।কবরস্থানের কমিটির সহ সভাপতি মতিউর রহমান বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ও নির্বাহী সদস্য সোহেল রানা জানান ব্রিটিশ আমলে মুসলমানদের রাজা জগদীশ রায় বাহাদুর ৬২ একর ১৬.জমি কবরস্থান ব্যবহারের জন্য তৎকালীন সময় ইসলাম গাজী পিরোত্তরস্টেজ নামে জমিটি দান করেন।

তৎকালীন দেখাশোনার দায়িত্বে মৃত হাজী সোয়ার উদ্দিন থাকার কারণে।পাকিস্তান আমলে তার নামে জমিটি রেকর্ড হয়।পরে সেই রেকর্ডটিও দখলিয় সম্পত্তি হাজী সোয়ার উদ্দীনের ছেলে রহিম হাজী গংদের নামে বিএস রেকর্ড হয়।হাজী রহিম গং রেকর্ডের বলে ৮/১০ জন ব্যক্তিকে জমিটি বিক্রি করে দেন।

বিভিন্ন জনকে নামমাত্র ম‚ল্যে হস্তান্তর করে দেওয়ার কারণে কমিটির লোকজনরা প্রকাশ করে বলেন মৃত্যুপরবর্তী পরিণতির পরিবর্তে কেবল কবরের জায়গা নিয়ে এই অভিনব মনোযোগের পেছনে কোন জাহেলিয়াতের দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে-আল্লাহ ভালো জানেন।তিনি সব দেখছেন সব হিসাব তিনিই নিবেন।স্থানীয়রা জানান কবরস্থান হলো মুসলমানদের শেষ ঠিকানা।

আর এই শেষ ঠিকানা জায়গায় যিনি কিনেছেন এবং বিক্রি দিয়েছেন তাকেও একদিন এই ঠিকানায় আসতে হবে।পিরোত্তর বা কবরস্থানের জায়গা কখনো বিক্রি ও হস্তান্তর যোগ্য না।এখানে আমাদের প‚র্বপুরুষদের কবর আছে।

ভুমি দস্যুরা তাদের অবৈধ টাকা দিয়ে আমাদের কবরস্থান দখল করে নিতে চাচ্ছে।আমরা মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই এবং আমাদের কবরস্থানটা যাতে বেদখল না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের যথাযথ সহযোগিতা কামনা করছি।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।