দিনাজপুরে কথিত মুক্তিযোদ্ধা রতন চৌধুরী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।
আপডেটঃ ৬:৫১ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৬, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে (কালিতলা) গতকাল ১৬ই জুলাই ২০২০-২০২২ এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুরে কথিত মুক্তি যোদ্ধা গোলাম মতুর্জা চৌধুরী অরুফে রতন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তারই সহোদর ২ ভাই গোলাম মাহাবুব চৌধুরী কলিং ও গোলাম মাসুম চৌধুরী পলু বড় ভাই রতন চৌধুরী কর্তৃক পারিবারিক স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তির অবৈধ ক্ষমতার জোর দেখিয়ে দিনাজপুর ষষ্টিতলার কর্তৃক বাসভবনের বারান্দায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টাঙ্গানো ছবি যে কোন সময় ভংচুর করে মিথ্যা মামলায় তারই ২ বোন ও ১ ভাইকে ফাসিয়ে দেওয়ার হুমকী প্রদান করায় দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে উপরোক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে গোলাম মতুর্জা চৌধুরী রতনের ২ সহোদর ছোট ভাই গোলাম মাহাবুব চৌধুরী কলিং ও গোলাম মাসুম চৌধুরী পলু যৌথ ও লিখিত বিবৃতীতে জানান, আমাদের বাবা মৃত তসলিম উদ্দীন চৌধুরী দিনাজপুর শহরের ষষ্টিতলার বাসিন্দা ছিলেন।
আমাদের মা মৃত মাসুমা খাতুন দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আমাদের মা-বাবার মৃত্যুর পর আমাদের বড় ভাই রতন চৌধুরীর সাথে জমি সংক্রান্ত ও ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।এই নিয়ে বিভিন্ন আদালতে মোকাদ্দমাও চলমান।কয়েক দিন পূর্বে এসব বিরোধকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য রতন চৌধুরী আমাদের বিরুদ্ধে এই প্রেস ক্লাবেই একটি সংবাদ সম্মেলন করে।
যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মাহবুব চৌধুরী কলিং বলেন, ২০০১ সালে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ বিরল-বোচাগঞ্জ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী ছিলাম।বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানবতার কান্ডারী শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখন আমাদের বড় ভাই রতন চৌধুরী নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমাদের এহেন হুমকী ধামকী দিয়ে মিথ্যা মামলার প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন।
রতন চৌধুরী তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে আমরা যেখানে সম্পৃক্ত অর্থ্যাৎ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ৭১ ও নাগরিক উদ্দ্যোগ নামের সংগঠনকে একটি ভাড়াটিয়া সংগঠন হিসেবে দেখিয়ে আমাদের ৪ ভাই ও ১ বোনের সম্পূর্ণ পৈত্রিক বাড়ীটি দখলের এহেন অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।অথচ এই বাড়ীটি আমাদের মা মৃত মাসুমা খাতুনের নামে যা এখনও ভাগাভাগি হয়নি।
এই বাড়ীটি একটি ট্রিপলেস বিল্ডিং।কিন্তু কিভাবে উনি এই বাড়ীটির সম্পূর্ণ একক ভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়ে দেন যেখানে বাড়ীটির উপর নীচে আমাদের পরিবার বসবাস করে।আমাদের ভাই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৯ মাস পুরো সময় মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী অধুর্ষিত এলাকা বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানায় আমাদের খালার বাসায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছে।
সুতরাং সে কিভাবে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে আমাদের পরিবারের তা কারও বোধগম্য নয়।স্বাধীনতার পর ৮০র দশকে আমরা ২ ভাই ইউরোপ ও আমেরিকায় গমন করি।সেখানে আমাদের অর্জিত অর্থ তার নিকট আমরা প্রেরণ করে গচ্ছিত রাখতাম।সে অর্থও আমরা সময়মত ও ঠিকমত ফেরত পাইনি।
আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আমার মৃত বাবা-মায়ের অনেক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জাল জালিয়াতকে রেজিষ্টি অফিসে তুলে বিক্রি করে দেয়।এমনকি বাবার মৃর্ত্যুর পর বাবার ১০ লক্ষ টাকার এফডিআর জাল স্বাক্ষর করে রতন চৌধুরী তুলে নেয়। এখন সর্বশেষ টার্গেট আমাদের দিনাজপুর ষষ্টিতলার পৈত্রিক ভিটাবাড়ী।এ কারণেই তার এত ষড়যন্ত্র।
এই ষড়যন্ত্র কার্যকর করার জন্যই সে আমাদের ৩ ভাই ও ১ বোনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে এবং করছে। অথচ বিগত ৩২ বছর যাবৎ দেশের রাষ্ট্রীয় অগ্রণী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক সহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে এখনও সে ঋণ খিলাপী রয়েছে।
এই ঋণ খিলাপী হওয়ায় তিনি দেশে কোন নতুন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি করেননি বরং কোটি কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কানাডায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তা তার ২য় স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছেন।এখন দেশের ঋণ পরিশোধ না করে আমাদের পিতা-মাতার সম্পত্তি আমাদের ২ ভাই ও ১ বোনকে বঞ্চিত করে বিভিন্ন মামলায় ফাসিয়ে হয়রানী করছেন।
ঐ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আমাদের ষষ্টিতলা কর্তৃক বাড়ীটি যবর দখলের সময় ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আমাদের ইস্তেমা নামক মাইক্রোবাসটি ভংচুর করে গাড়ীর কাগজপত্র সহ বেশ কিছু জরুরী ব্যবসায়ীক কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন।
এখন আমাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভংচুরের মামলা দেওয়ার হুমকী ধামকী দিয়েই যাচ্ছেন।আমরা এহেন ধৃষ্টতাপূর্ণ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিমত পত্র পত্রিকায় তুলে ধরে প্রকাশ করার জন্য আপনার সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।