তারেক রহমানের গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস, বাকি আরো চার মামলা
আপডেটঃ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা :- রোববার (১ ডিসেম্বর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই রেহাইকে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এখনো চারটি মামলা বাকি রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, সম্পদ বিবরণীর মামলা, মানি লন্ডারিং মামলা এবং নড়াইলে মানহানির মামলা। ব্যারিস্টার কামাল আরো বলেন, তারেক রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তিনি সব মামলা মোকাবিলা করতে চান। তার মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে এসব মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হওয়া তারেক রহমান পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে বিদেশে চলে যান। এরপর থেকে তিনি আর দেশে ফিরেননি। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয় এবং রায়ও আসতে থাকে। তার বিরুদ্ধে অন্যতম মামলা হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন এ মামলা করে। অভিযোগ ছিল, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি অর্থ ট্রাস্টের কাজে ব্যবহার হয়নি এবং সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে এ মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
এছাড়া ২০০৭ সালে দুদক তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী মামলা দায়ের করে। অভিযোগ ছিল, তাদের ঘোষিত আয়ের বাইরেও প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। এই মামলায় ২০২৩ সালের আগস্টে তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে নড়াইলে মানহানির একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় ২০২১ সালে তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা হলো মানিলন্ডারিং। ২০১৩ সালে তারেক রহমানকে অর্থপাচার মামলায় বেকসুর খালাস দেওয়া হলেও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই সব মামলার মোকাবিলা চলছেই, তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে সাজানো হয়েছে।
IPCS News : Dhaka