ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরুতেই শেষ, ৩০ মিনিটে ৪০ লাখ হিট
আপডেটঃ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | জুন ১৫, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী:- আগামী ২৯ জুনকে ঈদুল আজহা ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।বুধবার (১৪ জুন) সকাল ৮টায় একযোগে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।বিক্রি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিটি ট্রেনের আসন খালি হয়ে যায়।রেলওয়ের তথ্যানুযায়ী, ১৪ জুন থেকে দেয়া হচ্ছে ২৪ জুনের টিকিট।একইভাবে ১৫ জুন দেয়া হবে ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের ও ১৮ জুন দেীয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হবে ২২ জুন।সে হিসাবে ২২ জুন দেয়া হতে পারে আগামী ২ জুলাইয়ের টিকিট।২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হতে পারে।ঈদে আসনবিহীন টিকিট মোট আসনের ২৫ শতাংশ দেয়া হবে।এবার ঈদযাত্রায় ট্রেনের মোট আসন হবে প্রায় ২৯ হাজার।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ প্রত্যাহার করা হবে।আন্তঃদেশীয় মিতালী ও মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৩ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।অন্যদিকে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুধু ২৯ জুন বন্ধ থাকবে।ঈদের আগের দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলবে না।ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য ৬৫টি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।এর মধ্যে সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রড গেজ কোচ সরবরাহ করা হবে।ঈদের সময় সব মিলিয়ে ২১৮টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হবে।এর মধ্যে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে চলবে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি।
এছাড়া পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটার গেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রড গেজ কোচ সরবরাহ করা হবে।ঈদের সময় সব মিলিয়ে ২১৮টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হবে।এর মধ্যে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে চলবে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি।টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে যারা প্রথমে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ঢুকতে পারেননি, তারা পরে ঢুকে আর কোনো খালি আসন পাননি।
টিকিট না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।অন্যদিকে যারা পেয়েছেন, তারা আনন্দ ভাসছেন।টিকিট পাওয়া ও না পাওয়া নিয়ে মিশ্র প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।তাসনিমুল হক নামের একজন ফেসবুকে জানান, ‘রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকেট আলাদা আলাদা সময়ে ছাড়ার জন্য রেলওয়েকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের সার্ভার অনেক স্মুথ ছিল।আলহামদুলিল্লাহ সুন্দরবন এক্সপ্রেসের নতুন সংযোজনকৃত কোচে ভ্রমণ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।জাহিদুল হক জাহিদ নামে একজন লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ! ৪টি নন এসি টিকিট পেয়েছি।তাও আবার মোবাইল দিয়ে।এসি করতে পারলাম না; ফ্যামিলি/বাচ্চাসহ একটু কষ্টই হবে মনে হচ্ছে।ল্যাপটপ দিয়ে ঢুকতেই পারিনি।
গন্তব্য : রাজশাহী-ঢাকা।বাসায় বসে টিকিট কাটার মতো আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধন্যবাদ।নাফিউল ইসলাম নাহিদ লিখেছেন, ‘৮টা থেকে টিকিট দেওয়া শুরু।অদ্ভুত ভাবে ৮টার আগে এসির টিকিট হাওয়া।সাথে নামমাত্র কিছু নন এসি টিকিট।রাশেদুল শেখ লিখেছেন, জীবন যুদ্ধে হেরে গেলাম।অনেক চেষ্টা করেও টিকিট পেলাম না।
টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে জানতে চাইলেপশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, এবারই দুটি জোন ভাগ করে ভিন্ন সময়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রি চলছে।গতবার একসঙ্গে আড়াই কোটি পর্যন্ত ক্লিক পরেছিল।সেখানে এবার ক্লিক হয়েছে মাত্র ৪০ লাখের মতো।দুটি জোন ভাগ করে দেওয়াতে ক্লিকের সংখ্যা কমে এসেছে।এর জন্য কোনো বাফারিং হয়নি।
টিকিট প্রত্যাশীদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।বিক্রি শুরুতেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের টিকিট বিক্রির ক্যাপাসিটি অনেক।সেখানে টিকিট আছে মাত্র ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার।সবাই টিকিট পাবেন না।বিক্রি শুরুর পর টিকিট না থাকাটাই একেবারেই স্বাভাবিক।সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ৪০ লাখ হিট পড়েছে।
অন্যদিকে রেলওয়ে নিবন্ধিত একাউন্ট হচ্ছে ১৮ লাখ।তিনি আরও বলেন, আজকে যারা টিকিট পেয়েছেন তাদের তালিকা বিকেলের দিকে আমাদের বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হবে।এখানে আমাদের কারচুপির কিছু নেই।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।।