সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

টানা বর্ষণে দিনাজপুরে তিন নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই

আপডেটঃ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:- মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপে দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫৯ মিলিমিটার।গত কয়েকদিন থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে দিনাজপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিনটি নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে।বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে সন্ধ্যা নাগাদ সব নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স‚ত্রে জানা যায়, রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এর আগে শুক্রবারে ২০ মিলিমিটার ও শনিবারে রেকর্ড হয়েছে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এটি একটি লঘুচাপ।আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত এরকম বৃষ্টিপাত চলমান থাকবে।তবে এখনও পর্যন্ত বন্যার প‚র্বাভাস দেওয়া হয়নি।

এদিকে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড স‚ত্রে জানা গেছে, বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে জেলার তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে।পুনর্ভবা নদীর বিপদসীমা ৩৩ দশমিক ০৫, যেখানে বর্তমানে পানির পরিমাণ ৩১ দশমিক ৯৬।আত্রাই নদীর বিপদসীমা ৩৯ দশমিক ৫০, যেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫৫।

আর ইছামতী নদীর বিপদসীমা ২৯ দশমিক ৫০, যেখানে ২৮ দশমিক ০০ রেকর্ড করা হয়েছে।টানা বর্ষণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারছেন না কেউই।রাস্তাঘাটে যান চলাচল একেবারেই কমে গেছে।দুর্ভোগের পাশাপাশি আশঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষেরা।

এদিকে বৃষ্টির পানিতে মাছ ধরার ধুম পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়।যদিও এই বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক পুকুর ডুবে গেছে ফলে তাদের লোকসানে পড়তে হবে।কাঞ্চন নদীর তীরবর্তী মাহুদপাড়া, কাঞ্চন কলোনী, বিরল মোড়, বাঙ্গি বেচাঘাটসহ বেশ কযকেটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।সেখানে বসবাসরত মানুষের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।

এই পাড়া গুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ চলমান রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।