জীআই স্বীকৃত রাজশাহীর ফজলি আম
আপডেটঃ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৩, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ
রাজশাহী প্রতিনিধি :- আমের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে রাজশাহী অঞ্চলের নাম।এবার রাজশাহীর সঙ্গে আমের বন্ধন আরও দৃঢ় হলো।ফজলি আমের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজশাহীর ফজলি আম’।রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মিলেছে।৬ অক্টোবর প্রকাশিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্ক তাদের ‘দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশনের’ (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৭ সালের ৯ মার্চ রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল।আলীম উদ্দীন বলেন, রাজশাহীর ৯টি উপজেলাতেই ফজলি আমের চাষ হয়।এর মধ্যে বাঘা উপজেলার ফজলি আম খুবই পরিচিত।২০০ বছর আগে কলকাতার বাজারে ফজলি আম বাঘা ফজলি হিসেবে পরিচিত ছিল।
জিআই পণ্যের জন্য আবেদন করার সময় এই ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।এর পেছনের ঐতিহাসিক তথ্যও উপস্থাপন করা হয়েছে।ফজলি রাজশাহীর এটি আর অস্বীকার করার উপায় নেই।জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃত পাওয়ার মধ্য দিয়ে রাজশাহীর ফজলি সারা দেশের সম্পদ হয়ে গেল।ফজলি একটি নাবী মৌসুমি জাতের আম।
জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এটি পাকে এবং আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এটির সংগ্রহকাল।ফল পাড়ার পরে পাকতে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগে।ফুল আসা থেকে ফল পরিপক্ব হতে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস সময় লাগে।
এই ফল বেশ বড়, লম্বাটে চ্যাপ্টা আকারের হয়ে থাকে।ফলটি গড়ে লম্বায় ১৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার, পুরুত্বে ৭ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার এবং গড় ওজন ৬৫৫ গ্রাম হয়।
পাকা ফলের ত্বকের বর্ণ প্রায় সবুজ থেকে হালকা হলুদাভ হয়।আর শাঁসের রং হলুদ।ফজলি আম খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি।খোসা পাতলা, আঁটি লম্বা, চ্যাপ্টা ও পাতলা।
IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।