সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

চাকুরী দেওয়ার নামে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা; তোপের মুখে ৩ প্রার্থীর টাকা ফেরত

আপডেটঃ ৮:৪৭ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৫, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

দিনাজপুর:- দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দাদুল চকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, আয়া ও নৈশ্য প্রহরী নিয়োগের জন্য বিভিন্ন চাকুরী প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।তবে ভুক্ত-ভোগীদের তোপের মূখে ৩জন প্রার্থীর টাকা ফেরত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এব্যাপারে ৫জন ভুক্তভোগী জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছে।আর অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন জেলা শিক্ষা অফিসার।অভিযোগের অনুলিপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দিয়েছে।অভিযোগকারীরা হলেন-ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল গ্রামের সাগরিকা রায়, কুলছুম বেগম, মেহেদী হাসান মিম, শাহাজান আলী ও চকিয়াপাড়ার শাহিন আলম।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ৩০ জুলাই ফুলবাড়ী উপজেলার দাদুল চকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, আয়া ও নৈশ্য প্রহরীসহ ৪টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বেশ কয়েকজন চাকুরী প্রত্যাশী পদগুলোতে আবেদন করেন।

আবেদনের পর সাগরিকা রায়ের কাছ থেকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ১০ লাখ টাকা, কুলছুম বেগমের কাছে ৬ লাখ টাকা, মেহেদী হাসান মিমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা, শাহাজান আলীর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা, শাহিন আলমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেয়।

ভুক্তভোগী সাগরিকা রায় আয়া পদে, কুলছুম বেগম আয়া পদে, মেহেদী হাসান মিম নৈশ্য প্রহরী পদে, শাহাজান আলী নৈশ্য প্রহরী পদে ও শাহিন আলম কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে আবেদন করেন।আবেদন কারীদের এডমিট কার্ড না দিয়ে গোপনে গত সোমবার বিকেলে দিনাজপুর জিলা স্কুলে এসব নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ।

খবর পেয়ে ওই দিন ভুক্তভোগীরা জিলা স্কুলের সামনে অবস্থান নেন।পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নবীউল আলম বিশ্বাস ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান ৩ ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত প্রদান করেন।এব্যাপারে ভুক্তভোগী সাগরিকা রায় বলেন, “আমি বাড়ীর জমি বিক্রি করে চাকুরীর জন্য টাকা দিয়েছি।

কিন্তু টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নানানভাবে টালবাহান শুরু করে।বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৬ মাস পর তারা গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা করে।পরে কয়েকজন ভুক্তভোগী এসবের প্রতিবাদ করে টাকা ফেরত চাই।পরে আমি ও অপর ২ প্রার্থীর কাছে টাকা ফেরত দেয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নবীউল আলম বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ৪টি পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।

মোট ৪২ জন আবেদন করেছিল।এর মধ্যে কয়েকজনের কাছে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের জন্য টাকা নেয়া হয়েছিল।ইতিমধ্যে কয়েক জনের টাকা ফেরত প্রদান করা হয়েছে।

IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।