গ্যাস ও বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানোর নির্দেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আপডেটঃ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
নিউজ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্যাস ও বিদ্যুতের ভর্তুকি কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন।মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।প্রধানমন্ত্রী সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা বলেছেন।প্রধানমন্ত্রী গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ের লক্ষে এ কথা বলেন।পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।সভাসূত্রে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুত বিল বকেয়া আছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা আর গ্যাস বিল বকেয়া আছে ৬ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সভা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার প্রধান গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে সরে আসতে বলেছেন।পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি থেকে সরে আসতে কৌশল নির্ধারণেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক ভাবে বাণিজ্যিক খাত বিশেষ করে যেখানে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে এসব স্থানে ধীরে ধীরে গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে বলেছেন।শেখ হাসিনা বলেন, বড় বড় খাতে যারা বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহার করেন, তারা গরিব নয়।গুলশানে যারা বসবাস করেন, তারা গরিব নয়।সে জন্য প্রাথমিকভাবে বড় বড় শিল্প খাতের গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে বলেছেন।
মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ভর্তুকি কোনো সভ্য দেশের সমাধান নয়।তাই ধীরে ধীরে গ্যাস-বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে সরে আসতে হবে।তবে কৃষি ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ভর্তুকির অপব্যবহার হয়।অনেকে ভর্তুকির সুবিধা পান না।এটা অন্যায্য।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে কিন্তু শিল্পের খাত থেকে ভর্তুকি কমিয়ে আনা হবে।শিল্প ও বিলাসী এলাকায় আর ভর্তুকি দিতে চায় না সরকার।আজকের একনেক সভায় সব মিলিয়ে আট হাজার ৮০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
IPCS News : Dhaka :