কুলিয়ারচরে এক কৃষকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট, আহত-৩
আপডেটঃ ১০:১৮ অপরাহ্ণ | মে ২৯, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
কিশোরগঞ্জ:- কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক কৃষকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।হামলায় আহত হয়েছে কৃষকসহ ৩ জন।আহত কৃষক মো. অহিদ মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।আহত কৃষকের স্ত্রী রৌশনারা (৬০) ও মেয়ে রাবিয়া (৩০) কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ মে শনিবার উপজেলার কলাকূপা উত্তর পাড়া গ্রামে।সোমবার ২৯ মে দুপুরে কলাকূপা গ্রামের মৃত মো. গাজী মাহমুদের ছেলে আহত কৃষক মো. অহিদ মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ প্রতিনিধির নিকট অভিযোগ করে বলেন, একটি দলিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত শনিবার সকালে তার বড় ভাই হানিফ মিয়া (৭৫), ভাতিজা জরু মিয়া (৪০) ও আতাউল্লাহ দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে তাদের মারধোরসহ আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এসময় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা তাদের আটক করে পুনরায় মারধোর করে।খবর পেয়ে ওই কৃষকের ছোট মেয়ের স্বামী মামুন লোকজন নিয়ে হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত কৃষক অহিদ মিয়াকে ভর্তি করে।
বাকী দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।এঘটনায় গত ২৮ মে রোববার তিনজনকে আসামী করে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন আহত কৃষক মো. অহিদ মিয়া।অহিদ মিয়ার ছেলে কাতার প্রবাসী মো. ফারুক মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা দুই ভাই প্রবাসে থাকি।আমার ছোট ভাই সিদ্দিক মিয়া (২৪) থাকে সিঙ্গাপুর।
আমাদের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ছাড়া কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে আমার জেটা ও জেঠাত দুই ভাই মিলে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার বাবা, মা ও বোনকে মারধর করে এবং আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে।এঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় বিবাদীরা আমার বাবা মা ও বোনদের প্রাণনাশের হুমকি দিয় বলে, অভিযোগ তুলে এনে আমাদের জায়গা জমি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য।
তা না হলে আমার বাবা-মাকে জানে মেরে ফেলবে তারা।প্রায় ১৫ বছর আগে তারা আমাদের একটি জায়গায় মাটি ভরাট করে জোর জবরদস্তি দখল করে নেয়।আমার জেঠাত ভাই মো. জহুর মিয়া ২০১৩ সালে ঢাকা সন্ত্রাসী করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়।অনেকদিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে বড়ি আসিয়া এখন আবার মাস্তানি ও চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে।
তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।তার ছোট ভাইকে এখন এক নামে চিনে কালো মাস্তান।তারা দুই ভাই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের বাড়িতে গিয়ে মো. বিলাল মিয়ার ছেলে রফিক মিয়াকে মেরে ফেলার পদক্ষেপ নেয়।তারপর এলাকাবাসী ও কুলিয়ারচর থানা পুলিশ রফিক মিয়াকে উদ্ধার করে।এছাড়া একাধিকবার তারা আমার বাবাকে মারধর করে।
আমি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।এব্যাপারে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
IPCS News : Dhaka : লোকমান হোসাইন : কিশোরগঞ্জ।