সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

কাঁঠালের বাজার জমে উঠলেও দামে হতাশ মালিকরা

আপডেটঃ ১২:৫১ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৬, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- রাজশাহীর পুঠিয়ায় কাঁঠালের ফলন ভাল হওয়ায় বাজার বেশ জমে উঠলেও দামে হতাশ মালিকরা।হাসিমুখে কাঠাল নিয়ে বাজারে আসলেও বিক্রি শেষে ফিরে যেতে হচ্ছে বিষন্ন মন নিয়ে।রাজশাহীতে বাড়ির আশেপাশে ও পতিত জমিতে কাঁঠাল চাষ করলেও কাঁঠালের দাম না থাকায় কাঁঠাল কাছের পাতা বিক্রির প্রতি বেশি আগ্রহ রাজশাহীর চাষীদের।জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও সেই কাঁঠাল নিয়েই বিপাকে কাঁঠাল বাগান মালিকরা।রাজশাহীর কাঁঠাল খ্যাত এলাকা, পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে সাপ্তাহিক দুইটি শনিবার ও মঙ্গলবার হাটে ২৫ থেকে ৩০ কেজি ওজনের একটি কাঁঠাল ৮০/১০০শ টাকায়, ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।উপজেলার বানেশ্বর থেকে প্র্রতিহাটে ৩ থেকে ৫ ট্রাক কাঁঠাল যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়।এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রচুর কাঁঠাল বেচাকেনা হয়ে থাকে।

কিন্তু এবছরে বাগান মালিকরা ভালো দাম পাচ্ছেন না।গত বছরের চেয়ে কাঁঠালের পাইকারী বাজারে দাম কম বলে ব্যাপারিরা জানায়।পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটে সপ্তাহে প্রায় ১৫ লাখ টাকার কাঁঠাল কেনাবেচা হচ্ছে।পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে দেখা যায়, কাঠাল বিক্রেতারা কাঁঠাল সাজিয়ে বসে আছে।দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যাপারীরা দাম দর করে সে গুলো কিনছে।

বাজারে ছোট, মাঝারী ও বড় বিভিন্ন সাইজের কাঁঠাল দেখা যায়।ট্রাক, নসিমন ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহনে ব্যাপারীরা কাঁঠাল উঠানোর কাজে ব্যস্ত।বাজারে আগের বছরের তুলনায় এবার চাহিদা কম থাকায় দামও কম।কাঁঠাল বিক্রি করতে আসা উপজেলার খুটিপাড়া গ্রামের চাষি মোস্তাক আহমেদ জানান, তার ৭টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে।ফলন ভালো হয়েছে।

তার গাছের প্রতি পিস কাঁঠাল বড় ছোট মিলিয়ে ৪৫ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।তিনি আরও জানান, কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল কিন্তু জাতীয় ফলের দাম যদি এমন হয় তাহলে কিসের এটা জাতীয় ফল বলে তিনি মন্তব্য করেন।গাজীপুর থেকে আসা ব্যাপারী আফাজ উদ্দিন বলেন, বানেশ্বরে কাঁঠালের আমদানী এবার অনেক বেশী দামও তুলনামূলক কম তাই এখান থেকে কাঁঠাল ক্রয় করতে এসেছি।

কিন্তু যে দামে কিনছি গাড়ী ভাড়াসহ খরচ করে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেও ভাল দাম পাচ্ছি না।এতে অনেক চালানে লোকসান হচ্ছে।পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, পুঠিয়ায় ৭৮ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে।এসব জমি থেকে পাওয়া যাবে আনুমানিক ১ হাজার ৪শ ৭৪ মেট্রিক টন কাঁঠাল।কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এটাতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুন উপাদান রয়েছে।যেহেতু বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগিয়ে উৎপাদন করে কাঁচা এবং পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।এবার কাঁঠালের ফলন ভাল হয়েছে।সেই সাথে পর্যাপ্ত আমদানির কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারীরা আসে কাঁঠাল কিনতে।তবে কাঁঠাল জাতীয় ফল হিসেবে এটার দাম আরও বেশি হওয়া উচিত।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।