এক নারীকে কাজের কথা বলে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা।
আপডেটঃ ৯:০৬ অপরাহ্ণ | মার্চ ২২, ২০২৩
নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনা:- নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে গত ১২ মার্চ রবিবার সকালে ফতেপুর রুদ্রশ্রী এলাকা থেকে এক নারীকে একটি মাইক্রো বাসে তুলে নেয় চালক সবল ও গাড়ির মালিক তমজিদ।পরে ঢাকার একটি হোটেলে আটকিয়ে রেখে দুজন মিলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।গত ১৭ মার্চ শুক্রবার গভীর রাতে ফতেপুর এলাকা সড়কের পাশে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।এই ঘটনাটি এলাকায় প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে ভুক্ত ভোগী নারী এলাকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচারের জন্য গেলেও বিচার না পেয়ে গত কাল মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে মদন থানায় দুইজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।ভুক্তভোগী নারীর বাবা জানান, আমি খুব গরিব মানুষ বাজারে বাজারে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাই।
আমার মেয়েকে অন্যের বাসায় কাজ দিবে বলে প্রলোভন দিয়ে গাড়ির মালিক তমজিদ ও তার ড্রাইভার সবল ঢাকায় নিয়ে যায়।গত শুক্রবার রাতে গাড়ির মালিক আমাকে ফোন দিয়ে জানায় আপনার মেয়ে রুদ্রশ্রী সড়কের পাশে আছে।মেয়ে বাড়িতে আসার পর জানতে পারলাম ৫দিন আটকে রেখে আমার মেয়েকে তারা ধর্ষণ করছে।
ঘটনার পর থেকেই একটি মহল ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে।অভিযুক্ত গাড়ি চালক সবল মিয়া জানান, তার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পর্ক।সেও বিবাহিতা আমিও বিবাহিত।সে নিজেই আমার সাথে ঢাকা গিয়েছে।যেহেতু এমন ঘটনা ঘটেছে আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি আছি।
তমজিদ জানায়, আমি গাড়ি ভাড়া দিয়েছি, চালক কি করছে তা আমার জানা নেই।চালকের ফোন বন্ধ থাকায় আমার গাড়ি ট্যাকারের মাধ্যমে অবস্থা নিশ্চিত করে মেয়েটিকে উদ্ধার করি।ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি এ প্রতিনিধিকে জানান, গত মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে নিয়ে তার মা ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিল।
আমি তাদেরকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাওহীদুর রহমান জানান এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মদন থানায় দুইজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।ভুক্তভোগী নারীকে পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
IPCS News : Dhaka : শহীদুল ইসলাম : নেত্রকোনা।