সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ শিরোনামঃ

“আমের রাজধানী চাঁঃ নবাবগঞ্জ” জেলা জুড়ে গাছের মুকুলের মৌ-মৌ ঘ্রান

আপডেটঃ ২:০০ অপরাহ্ণ | মার্চ ১৮, ২০২৩

নিউজ ডেস্কঃ

রাজশাহী:- আমের রাজধানী চাঁপাই নবাবগঞ্জে আমের গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে।ভরে উঠেছে প্রতিটি গাছপালা মৌ-মৌ ঘ্রানে সুগন্ধে ছড়িয়ে পড়েছে আমের রাজধানী চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা আকাশে বাতাসে পাখিদের কলাহার এ যেনো জম-কলোর দৃশ্য, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা যদিও গত বছর এই সময়ে আমের মকুল দিয়ে গাছে গাছে বড়ে যেত।আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য গাছে দেরিতে মুকুল আসছে।তাই আমগাছে মার্চ মাস পর্যন্ত মুকুল আসবে।আবহাওয়া অনুকূল থাকায় হতাশ হবার কোনও কারণ নেই বলে জানান আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.মোখলেসুর রহমান।চাঁপাই নবাবগঞ্জে আম গাছে মুকুল আসার সময়কাল ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।তবে এখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ গাছ মুকুলিত হয়েছে।গতবার অফ ইয়ার হওয়ায় কিছুটা কম উৎপাদন হয়েছিল কিন্তু এবার অনইয়ার হওয়ায় ভালো উৎপাদন হবে।

আশা করা হচ্ছে শতভাগ গাছ মুকুলিত হবে এবং এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনও ভালো হবে বলে বলছেন কৃষি গবেষকরা।সরজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, এবার অন ইয়ার হওয়ায় জেলায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।গতবছর অফইয়ার হওয়ায় আমের আশানুরুপ ফলন হয়েছিল।কিন্তু এবারও আমের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন বানি ও আমচাষিরা।

অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায় এক বছর আমের উৎপাদন ভালো হলে পরের বছর খারাপ হয়।আমচাষী এরফান আলি বলেন; আমের ভালো ফলন হবার জন্য এখন থেকে বাগান পরিচর্যার কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছি।আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।তুলনামূলক ভাবে এবার বড় আমগাছের চেয়ে ছোট আমগাছে বেশি মুকুল এসেছে মুকুল ধরে রাখতে বাঁশ দিয়ে ঠেক দিতে হচ্ছে।

আরেক আম চাষি আবদুল রহিম বলেন;আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে।পুরোদমে মুকুলে ছেয়ে গেছে তাই এসব গাছের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন।এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয় আমাদের।রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো.আব্দুল আলিম বলেন; এবার গরম আগেই চলে এসেছে।

আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে।কিছু কিছু গাছে মুকুল এসেছেও।আবার কিছু কিছু গাছে মাথা ফাটছে।তবে সেগুলো মুকুল হবে না নতুন পাতা হবে সেটা বুঝতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে।এই ফাটা জায়গা থেকেই মুকুল বা নতুন পাতা বের হবে এছাড়াও মুকুলের গেজ ধরে রাখতে আকাশের পানির কোন বিকল্প নেই।

IPCS News : Dhaka : আবুল কালাম আজাদ : রাজশাহী।