অর্থ আত্মসাতের দায়ে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হল পূর্বের কমিটি
আপডেটঃ ২:২৪ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৪, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
দিনাজপুর:- মাদ্রাসায় দানকৃত মাংস ছাত্রদের খেতে দেওয়া হয় না।গেলো কুরবানি ঈদের মাংস এখনো ফ্রিজে রাখা হয়েছে, সে গুলো পচন ধরেছে।নিম্ন মানের খাবার দেওয়ায় ছাত্ররা প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে।অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে ছাত্রদের নিম্নমানের খাদ্য পরিবেশনসহ বিভিন্ন অনিয়ম স্বীকার করে মাদরাসার ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন পূর্বের কমিটি।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট ২০২৪) সন্ধ্যায় দিনাজপুর শহরের স্টেশন রোডস্থ দারুল হাদিস রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায়।তিনদিন আগে প্রধান শিক্ষক বরাবর বোর্ডিংয়ের খাবারের মান উন্নয়নের জন্য আন্দোলন করেন ছাত্ররা।কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা।মাদরাসার ছাত্ররা অফিস সহকারী আব্দুল মালেককে অবরুদ্ধ করে রাখে।তীব্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে মাদরাসার ৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।মাদরাসার কয়েকজন বলেন, খাবারের মান উন্নয়নের জন্য একাধিকবার আমরা কর্তৃপক্ষে জানিয়েছি।
কিন্তু তারা আমাদের কোন কথা রাখেননি।আমরা অর্থ দিয়ে লেখাপড়া করি, আমাদের কাছ থেকে মাসে ২৭০০ টাকা করে নেওয়া হয়, অথচ আমাদেরকে ফ্রিতে খাওয়ানো হয় বলে জানায় মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি।আমাদেরকে প্রতিদিনই নিম্নমানের খাবার খাওয়ানো হয়।ছাত্রদের কি ধরনের খাদ্য খাওয়ানো হচ্ছে তা স্বচক্ষে দেখতে বলেন।
ছাত্ররা আরোও বলেন,আমরা স্বৈরাচার সরকারের আমলের কমিটির পদত্যাগ চাই ও তাদের বিচার চাই।মাদ্রাসার মোতাওয়াল্লি ডা. মোহাম্মদ আতাউল্লাহ জানান, মাদ্রাসার ছাত্ররা বেতন দিয়ে পড়ালেখা করছে।অথচ খাতায় তাদের ফ্রিতে পড়াশোনা দেখানো হয়েছে।যা সম্পূর্ণ বেআইনি।ফলে গত ২ বছরের হিসেব অনুযায়ী ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৮ শত টাকার হদিস মিলছে না।
এই কমিটি ১৫ বছর ধরে মাদরাসাটি পরিচালনা করে আসছেন।আর এই ১৫ বছরে আরোও কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।উল্লেখ্য, পূর্বের কমিটি পদত্যাগের পর মো. রুস্তম আলিকে আহ্বায়ক ও মো. আরিফ হোসেনকে সদস্যসচিব করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।এই কমিটি আগের কমিটির সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে বলে জানানো হয়।
IPCS News : Dhaka : আব্দুস সালাম : দিনাজপুর।