অধ্যাপক লেখক ও গবেষক মরহুম এম আর মাহবুব এর আজ ৫৫ তম শুভ জন্ম দিন
আপডেটঃ ২:৩০ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২১, ২০২৪
নিউজ ডেস্কঃ
ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘর এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লেখক ও গবেষক এম আর মাহবুব ১৫ অক্টোবর ১৯৬৯ এর পিতৃনিবাস নরসিংদী জেলার মনােহরদী উপজেলার চর আহম্মদপুরে গ্রামে সৃষ্টিশীল এই মহান মানুটি জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর মাতা রহিমা বেগম, বাবা হারিস উদ্দিন।সহধর্মিণী আল মুননাহার লিপির সাথে তিনি ১৯৯৫ সালের ৫ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।তাদের একমাত্র কন্যা মাহী।লেখাপড়া করছেন এল কে ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়–সাগরদী,ঢাকা সিটি কলেজ ও জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়–ঢাকা।ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর।কর্মজীবনের শুরুটা, সাংবাদিকতার মাধ্যমে।
কিছুদিন অধ্যাপনার কাজে নিয়ােজিত ছিলেন।শিক্ষকতা করেন ড. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজে।সাহিত্য-সংস্কৃতির একজন অনুরাগী ছিলেন তিনি।তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ইতিহাস, ভাষা আন্দোলনের ওপর গবেষণা করেছেন।মূলত ছাত্র জীবন থেকেই ভাষা আন্দোলন নিয়ে কাজ করেন।
পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন নিয়ে শেকড়সন্ধানী গবেষণায় একন্নিষ্ঠ।ইতােমধ্যে ভাষা সৈনিকদের জীবনী ও ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস বিষয়ক ২৬ টি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার।যার মধ্যে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা, যারা অমর ভাষা সংগ্রামে, ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস, একুশের স্মারক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নরসিংদীতে ভাষা আন্দোলন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের দলিলপত্র উল্লেখযোগ্য।
৫৬টি বই শুধু ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন।একই বিষয় নিয়ে প্রকাশাপেক্ষায় আছে আরও বেশ কিছু গ্রন্থ।গ্রন্থসমুদয় ভাষা-আন্দোলনের নানা অজানা তথ্য মেলে ধরেছে: ফুটে উঠেছে অনেক অশ্রুত দিক।ভাষা-আন্দোলন নিয়ে বৃহৎ ক্যানভাসে রচিত গ্রন্থে অসম্পর্শিত কথা তিনি সংগ্রহ করেছেন এবং করছেন অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে সংগ্রহ করেছেন ভাষা আন্দোলনের অনেক দুর্লভ দলিল, অপ্রকাশিত ছবি ও স্মৃতি স্মারক উদ্ধার করেছেন শত ভাষাসংগ্রামীদের গৌরবদীপ্ত অবদানের স্মৃতিকথা।
ভাষা-আন্দোলন স্মৃতি সংরক্ষণ আন্দোলনেও তিনি একজন একনিষ্ঠ কর্মী।শুরুটা ১৯৮৭ সাল থেকে।সেই থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত দুই যুগ ধরে তিনি নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন এই মহান কর্মযজ্ঞে।আজও পড়ছেন, লিখছেন, শিখছেন।এ কাজের স্বীকতিস্বরূপ ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননায়।
কর্মসূত্রে ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক।বাংলা একাডেমীর সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন সমাজকল্যাণ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।তাঁর বইগুলো বর্তমানে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথ্য সংগ্রহের বান্ডার হিসেবে শিক্ষকগণ, ছাত্র–ছাত্রী ও সাংবাদিকগন সংগ্রহ করছেন।
তরুণ গবেষক এম আর মাহবুব ২১ এপ্রিল, ২০২০ইং মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার সময় রাজধানীর আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকলকে কাদিয়ে এই কৃতিমান তরুণ ৫০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।(ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না-লিল্লাহ রাজিউন) এর আগে, এম আর মাহবুব ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে চিরকাল।আল্লাহ তাকে বেহেশতের সুমহান উচ্চ স্থান দান করুন।
তথ্য সংগ্রহঃ ফেইজ বুক, বিভিন্ন আনলাইন মিডিয়া, নিউজ পেপার, বিভিন্ন পুস্তক, এম আর মাহবুব এর প্রকাশিত পুস্তক।
IPCS News : Dhaka : মোঃ তাজুল ইসলাম বাদল : নরসিংদী।